রঙিন ডেস্ক : দুগ্ধজাত দ্রব্য ঘিয়ের উপকারিতার নেই কোনও সীমা। কিন্তু কথা হচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগীরা কী খেতে পারেন ঘি? এই নিয়ে আছে নানা বিতর্ক। গবেষকরা বলছেন, ঘি’তে যদিও প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে তারপরও এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। প্রাচীনকাল থেকে ঘি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে এত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যে এটি ডায়াবেটিস রোগীদেরও ভালো থাকতে সাহায্য করে।
ঘি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধের মতো। এতে থাকা ফ্যাটি এসিড বিপাকক্রিয়া সম্পন্ন এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া ভাতের মধ্যে ঘি মেশালে এতে থাকা শর্করা ডায়াবেটিস রোগীদের হজম করতে সুবিধা হয় ।
এনডিটিভি অবলম্বনে জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীরা ঘি খেতে পারবেন কী না।
আরো পড়ুন:- মুরগীর মাংস দিয়ে মজাদার ‘কোশিনিয়া’
১) ভাতে সঠিক পরিমাণ ঘি মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। সেই সঙ্গে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়।
২) ঘি’তে থাকা লিনোলিক এসিড বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যা ডায়াবেটিস থেকে তৈরি হতে পারে।
৩) গাট হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৪) ঘি’তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৫) অর্গানিক ঘি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাত,সাদা রুটি, পরোটা ইত্যাদিতে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ কমায় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার হয়।
তবে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত, অতিরিক্ত কোনও কিছুই যেমন ভালো নয় তেমনি ঘিও বেশি খাওয়া ঠিক নয়। তাই খাবারের সাথে পরিমিত পরিমাণ ঘি নেয়ার চেষ্টা করুন।
No Comments so far
Jump into a conversationNo Comments Yet!
You can be the one to start a conversation.