রঙিন ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে মৌলবাদীরা কয়েক দিন যাবৎ যে অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। খুবই তাৎপর্যের বিষয়, অন্য কোনো ভাস্কর্য নয়, তাদের রোষ শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর। সুতরাং তাদের এই ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক। পরলোকগত বঙ্গবন্ধুও এখন তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
মৌলবাদীদের বক্তব্যের পর মূর্তি ও ভাস্কর্যের পার্থক্য নিয়ে যে অর্থহীন বাহাস চলছে, সেটাও খুব অর্বাচীনসুলভ। মৌলবাদীরাও খুব ভালো জানে কোনটা মূর্তি আর কোনটা ভাস্কর্য। তারা জেনে-বুঝেই ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে। সুতরাং তাদের নতুন করে শেখানো যাবে না- মূর্তি কী, প্রতিমা কী, ভাস্কর্য কী? এমনকি যদি মূর্তিও হয় তা ভাঙার অধিকার কার আছে? এই তর্কাতর্কি দেখে মনে হচ্ছে, মৌলবাদীরা খুব শিগগিরই আন্দোলন শুরু করবে চারুকলা ইনস্টিটিউটের কোর্স থেকে ভাস্কর্য বাদ দিতে।
যে গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে, তাদের সঙ্গে সরকারি দলের সম্পর্ক খুব খারাপ নয়। এ কারণে তারা এখন সাহস পাচ্ছে এই জাতীয় ঔদ্ধত্যপূর্ণ একটা দাবি উচ্চারণ করতে। ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য যারা দিচ্ছেন, তারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি মধ্যযুগীয়, বর্বর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিপন্ন করছে। এটা প্রকৃতপক্ষে মূর্তি ধ্বংস নয়, দেশের ভাবমূর্তি ধ্বংস করার চক্রান্ত। তারা যা করছেন, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা আরও মারাত্মক দাবি তুলতে পারে।
আরো পড়ুন:- গোপালগঞ্জে প্রতি হেক্টরে ৫ টন ফলন দিয়েছে ‘বিনাধান-১৯’
তবে তাদের প্রতিহত করার জন্য সরকারি দলের অনুগত অন্য কোনো গোষ্ঠীকে মাঠে নামানো হলে তার পরিণতি আরও খারাপ হতে পারে। অপশক্তির সঙ্গে জেদাজেদি চলে না। যে কোনো অপশক্তিকে প্রচলিত আইনেই দমন করা সম্ভব। তাদের প্রতিহত করার জন্য রাষ্ট্রের আইনকানুনই যথেষ্ট।
আরপি/ এএইচ
No Comments so far
Jump into a conversationNo Comments Yet!
You can be the one to start a conversation.