রঙিন ডেস্ক : মেয়েদের ওয়েট ট্রেনিং করা উচিত কিনা, তা নিয়ে বহুদিন দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে আছে আমাদের সমাজ। কিন্তু আজকের পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে যখন শারীরিক সুস্থতাই সবচেয়ে বড়ো প্রয়োজন হয়ে উঠেছে, তখন ওয়েট ট্রেনিং থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকাটাও নেহাতই বোকামি হয়ে দাঁড়াবে।
ওয়েট ট্রেনিং আপনার চেহারা টোনড রাখে। তা হাড় মজবুত করে তোলে, সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। তাই প্রচুর মাসল তৈরি হয়ে যাবে ভেবে ওয়েট ট্রেনিং থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকবেন না — এটি আদ্যন্ত ভুল ধারণা।
ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে আপনার খাদ্যতালিকায় একটু বেশি প্রোটিন রাখা উচিত। কিন্তু তার জন্য বাড়তি টেনশন নেওয়ার দরকার নেই, বিকেলের স্ন্যাক্সে একমুঠো ছোলাসেদ্ধ বা বাদামভাজা খেলেও হবে। বড়োজোর এক গ্লাস দুধ বা একটা ডিম সেদ্ধ যোগ করতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
কয়েকটা বিষয় অতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ওয়েট ট্রেনিং করার আগে – স্রেফ অনলাইন ক্লাস দেখে ওজন নিয়ে ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন না। যাঁরা আগে কখনও করেছেন, তারাই করুন। খুব ভালো হয় যদি ফোনের মাধ্যমে ট্রেনারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন – তাঁর পরামর্শ নিয়ে ক্লাস করা সম্ভব হলে তো খুব ভালো হয়।
হাতের কাছে ডাম্ববেল না থাকলেও চিন্তা নেই। পানিভরা বোতল বা পাওলির মতো বইভরা ব্যাগ থাকলেও চলবে। পাওয়া যায় নানা ওজনের রেজিসট্যান্স ব্যান্ড আর টিউব — ঠিক কতটা ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে আপনি সহ্য করতে পারবেন, সেটা ট্রেনার বলে দিতে পারবেন।
রোজ একই অঙ্গের ব্যায়াম করবেন না। সপ্তাহের এক এক দিন এক একটি অঙ্গের ব্যায়ামের উপর জোর দিন। প্রতি সপ্তাহে ফুল বডি ওয়ার্ক আউট করার চেষ্টা করুন। ওয়েট ট্রেনিং সব সময় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে করবেন, তাতে পশ্চার পারফেক্ট করাটা সহজ হয়। ব্যায়াম শুরু করার আগে প্রপার ওয়ার্ম আপ করতে ভুলবেন না।
আরো পড়ুন:- শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক ‘মাশরাফি জুনিয়র’
ব্যায়ামের আগে পেট ভরে খাওয়ার দরকার নেই – একটা ডিম বা অল্প ছানা খেলেই চলবে। ভেজানো ছোলা-বাদামও খেতে পারেন। কুমড়ো বা সূর্যমুখির বীজ খেলেও চলবে। তবে ব্যায়ামের আগে-পরে এবং তা চলাকালীন প্রচুর পানি খাওয়া দরকার। তা শরীরকে আর্দ্র রাখে।
ফোটো সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম
আরপি/ এএইচ
No Comments so far
Jump into a conversationNo Comments Yet!
You can be the one to start a conversation.