ছবি- সংগৃহীত
রঙিন ডেস্ক: স্কুলের গণ্ডি পেরোতেই উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে কিংবা পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে স্বপ্নপূরণ করতে শহর ছাড়ার গল্প এখন প্রায় সব পরিবারের। শহরের বাড়ি বাড়িতে ঢুঁ মারলেই দেখা যায়, পরিবারের ছেলে বা মেয়ে পাড়ি দিয়েছে মুম্বাই কিংবা বেঙ্গালুরু। কেউ কেউ আবার বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। আজকের যুগে এই ঘটনা আর বিরল নয়। আর এর ফলস্বরূপ বাড়ির বৃদ্ধ বাবা-মার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ে একাকিত্ব।
আজকাল যেহেতু আর সেভাবে যৌথ পরিবার দেখা যায় না, বিরাট অ্যাপার্টমেন্টের ঘরে ঘরে বাসা বাঁধে একাকিত্ব। লীনা গঙ্গোপাধ্য়ায় ও শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ‘সাঁঝবাতি’-ও এমনই এক গল্প বলবে। ‘সাঁঝবাতি’ ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। ট্রেলারেই স্পষ্ট, আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবন কীভাবে প্রতি মুহূর্তে বোঝাচ্ছে আমরা সকলেই একলা। গুরু গম্ভীর ভারী কথা বার্তা আছে, রাজনীতি আছে, কর্পোরেট জীবন আছে।
কিন্তু এর মাঝে দিনের অতি নগন্য বিষয় নিয়ে স্রেফ ভালো লাগার খাতিরে কথা বলার কেউ নেই। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে এই শূন্যতা আরো বাড়তে থাকে। সুলেখা ও ছানা বাবুর জীবনেও রয়েছে এমন শূন্যতা। সেই শূন্যতা পূরণ করে চন্দন ও ফুলি।
আরো পড়ুন: আইনি জটিলতায় ‘মর্দানি ২’!
মানুষের জীবনে যখন শূন্যতা তৈরি হয় তখন পরকেও আপন করে নেয়া যায়। ছানা দাদু আর মিষ্টি দিদার জীবনেও এমন আঁকড়ে ধরার জায়গা হল কেয়ারটেকার চাঁদু ও ফুলি। ছানা দাদুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার প্রতিবেশী মিষ্টি দিদা ওরফে সুলেখার চরিত্রে রয়েছেন লিলি চক্রবর্তী। কেয়ারটেকার চাঁদু ও ফুলির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দেব ও পাওলি। আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে।
দেব ও পাওলিকে এই প্রথম জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছে। পাওলি জানান, এই প্রথম এমন প্রাণবন্ত একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। এই অভিজ্ঞতাটা দারুণ।
অন্যদিকে দেব জানিয়েছেন, পাওলি সহ অভিনেত্রী হিসেবে খুবই ভালো ও সিরিয়াস। প্রতিটি শট যতক্ষণ পর্যন্ত না একদম সঠিক হচ্ছে, ততক্ষণ পাওলি হাল ছাড়েন না।
ছবির পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই চরিত্রটিতে দেব কতটা মানানসই তা নিয়ে তার সন্দেহ ছিল। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে এই চরিত্রটির সঙ্গে দেব সম্পূর্ণ সুবিচার করেছেন। সূত্র: কলকাতা ২৪x৭
এসএল/এএইচ
No Comments so far
Jump into a conversationNo Comments Yet!
You can be the one to start a conversation.